নকল ভেজাল ওষুধ

ছবি সংগৃহীত

 

আরশান আজাদ : বাংলাদেশের ওষুধ রপ্তানি হচ্ছে বিশ্বের ১৪৭টি দেশে। এ পরিসংখ্যান গর্বের শুধু নয় অহংকারের। কারণ যুক্তরাষ্ট্রসহ ইউরোপ আমেরিকার দেশগুলোতেও বাংলাদেশের ওষুধ রপ্তানি হয়। ওষুধের মানের ব্যাপারে যাদের রক্ষণশীল ভূমিকা দুনিয়াজুড়েই প্রশংসিত। বাংলাদেশে মানসম্মত ওষুধ তৈরি হচ্ছে এবং ইউরোপ আমেরিকার মানুষও বাংলাদেশের প্রতি আস্থা রাখছে এটি একটি আলোকিত দিক। তবে আলোর নিচে রয়েছে ঘোরতর অন্ধকার। নকল ভেজাল ওষুধ তৈরিতেও বাংলাদেশ এগিয়ে। আর এই এগিয়ে থাকার পিছনে ওষুধ প্রশাসনের দায়ও কম নয়। নকল ভেজাল ওষুধ তৈরিতে জড়িত নামসর্বস্ব কিছু ওষুধ কোম্পানি এবং তথাকথিত ইউনানী ও হারবাল ওষুধ কোম্পানিগুলো। দেশে ইউনানী ওষুধের লাইসেন্স রয়েছে প্রায় তিনশটি- যা কোনোভাবেই এক ডজনের বেশি হওয়া যুক্তিযুক্ত নয়। এসব তথাকথিত প্রতিষ্ঠানের আড়ালে হুবহু ‘আসল’ মোড়কে গ্যাস্ট্রিক, ক্যান্সার, ডায়াবেটিস, কিডনিসহ বিভিন্ন জটিল রোগের নকল ওষুধ বাজারে ছাড়া হচ্ছে। যা দেখে ভোক্তাদের আসল-নকল পরখ করা অনেকটাই দুঃসাধ্য। স্বনামধন্য এবং পরিচিত ওষুধ কোম্পানির ওষুধগুলোই নকল করা হয় বেশি। নকল ওষুধ সাধারণত রুগ্ন কারখানা বা ইউনানী-হারবালের মতো কারখানাগুলোতে উৎপন্ন হয়। রাতের শিফটে এসব নকল ওষুধ উৎপাদন করে ভেজাল সিন্ডিকেটের কুশীলবরা।

 

কারখানা থেকে কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে ঢাকায় চক্রের তালিকাভুক্ত কিছু ফার্মেসির কাছে পৌঁছানো হয় এসব ভেজাল ওষুধ। মিটফোর্ড কেন্দ্রিক কিছু অসাধু ফার্মেসি নকল ভেজাল চক্রের সঙ্গে জড়িত। সেখান থেকে সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে এ ভেজাল ওষুধ। গ্রামেগঞ্জে ক্রেতার হাতে পৌঁছে যাচ্ছে প্রাণঘাতী এসব নকল ওষুধ। নকল ওষুধের কারণে সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে এবং মানুষের জীবন ঝুঁকিতে পড়ছে। গুটিকয়েক নকল ব্যবসায়ীর জন্য দেশের ওষুধ ব্যবসার সুনাম নষ্ট হচ্ছে। ওষুধ ও কসমেটিকস আইন ২০২৩-এ নকল ভেজাল ওষুধ তৈরি ও বিপণনের অপরাধকে জামিন অযোগ্য করা হয়েছে। কিন্তু তার প্রয়োগ নেই। এ বিষয়ে সরকার সক্রিয় হলে নকল ভেজাল রোধে ফলপ্রসূ ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে। সূএ:বাংলাদেশ প্রতিদিন

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» ‘কোনো দল নিষিদ্ধের পক্ষে নয় জাতীয় পার্টি’

» জাতীয় নির্বাচনের সময় জানালেন উপদেষ্টা সাখাওয়াত

» মালয়েশিয়ায় স্থানীয়ভাবে পাসপোর্ট প্রিন্টের দাবি প্রবাসীদের

» মহাখালীতে রিকশাচালকদের অবরোধ, ট্রেন চলাচল বন্ধ

» ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে করা ৬ মামলা বাতিল

» সশস্ত্র বাহিনী সাহস, শৌর্য ও শৃঙ্খলার প্রতীক: তারেক রহমান

» ভুটান বাংলাদেশে বিদ্যুৎ রপ্তানির প্রস্তাব দিয়েছে : আমির খসরু

» দেশে ফিরেছেন জামায়াত আমির

» সাবেক এমপি ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর গ্রেফতার

» দায়িত্ব নিয়েছেন নবনিযুক্ত ডিএমপি কমিশনার শেখ সাজ্জাত আলী

  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

নকল ভেজাল ওষুধ

ছবি সংগৃহীত

 

আরশান আজাদ : বাংলাদেশের ওষুধ রপ্তানি হচ্ছে বিশ্বের ১৪৭টি দেশে। এ পরিসংখ্যান গর্বের শুধু নয় অহংকারের। কারণ যুক্তরাষ্ট্রসহ ইউরোপ আমেরিকার দেশগুলোতেও বাংলাদেশের ওষুধ রপ্তানি হয়। ওষুধের মানের ব্যাপারে যাদের রক্ষণশীল ভূমিকা দুনিয়াজুড়েই প্রশংসিত। বাংলাদেশে মানসম্মত ওষুধ তৈরি হচ্ছে এবং ইউরোপ আমেরিকার মানুষও বাংলাদেশের প্রতি আস্থা রাখছে এটি একটি আলোকিত দিক। তবে আলোর নিচে রয়েছে ঘোরতর অন্ধকার। নকল ভেজাল ওষুধ তৈরিতেও বাংলাদেশ এগিয়ে। আর এই এগিয়ে থাকার পিছনে ওষুধ প্রশাসনের দায়ও কম নয়। নকল ভেজাল ওষুধ তৈরিতে জড়িত নামসর্বস্ব কিছু ওষুধ কোম্পানি এবং তথাকথিত ইউনানী ও হারবাল ওষুধ কোম্পানিগুলো। দেশে ইউনানী ওষুধের লাইসেন্স রয়েছে প্রায় তিনশটি- যা কোনোভাবেই এক ডজনের বেশি হওয়া যুক্তিযুক্ত নয়। এসব তথাকথিত প্রতিষ্ঠানের আড়ালে হুবহু ‘আসল’ মোড়কে গ্যাস্ট্রিক, ক্যান্সার, ডায়াবেটিস, কিডনিসহ বিভিন্ন জটিল রোগের নকল ওষুধ বাজারে ছাড়া হচ্ছে। যা দেখে ভোক্তাদের আসল-নকল পরখ করা অনেকটাই দুঃসাধ্য। স্বনামধন্য এবং পরিচিত ওষুধ কোম্পানির ওষুধগুলোই নকল করা হয় বেশি। নকল ওষুধ সাধারণত রুগ্ন কারখানা বা ইউনানী-হারবালের মতো কারখানাগুলোতে উৎপন্ন হয়। রাতের শিফটে এসব নকল ওষুধ উৎপাদন করে ভেজাল সিন্ডিকেটের কুশীলবরা।

 

কারখানা থেকে কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে ঢাকায় চক্রের তালিকাভুক্ত কিছু ফার্মেসির কাছে পৌঁছানো হয় এসব ভেজাল ওষুধ। মিটফোর্ড কেন্দ্রিক কিছু অসাধু ফার্মেসি নকল ভেজাল চক্রের সঙ্গে জড়িত। সেখান থেকে সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে এ ভেজাল ওষুধ। গ্রামেগঞ্জে ক্রেতার হাতে পৌঁছে যাচ্ছে প্রাণঘাতী এসব নকল ওষুধ। নকল ওষুধের কারণে সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে এবং মানুষের জীবন ঝুঁকিতে পড়ছে। গুটিকয়েক নকল ব্যবসায়ীর জন্য দেশের ওষুধ ব্যবসার সুনাম নষ্ট হচ্ছে। ওষুধ ও কসমেটিকস আইন ২০২৩-এ নকল ভেজাল ওষুধ তৈরি ও বিপণনের অপরাধকে জামিন অযোগ্য করা হয়েছে। কিন্তু তার প্রয়োগ নেই। এ বিষয়ে সরকার সক্রিয় হলে নকল ভেজাল রোধে ফলপ্রসূ ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে। সূএ:বাংলাদেশ প্রতিদিন

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com